আমাদের পৃথিবী,Chapter -1, Class -6, SEBA New Book, Social science

আমাদের পৃথিবী,Chapter -1, Class -6, SEBA New Book, Social science

আমাদের পৃথিবী,Chapter -1, Class -6, SEBA New Book, Social science

পৃষ্ঠা ১৫: অনুশীলনী – ১
১। নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো-
(ক) পৃথিবীর পরিবারটির নাম কী?
উত্তর – পৃথিবীর পরিবারটির নাম সৌরজগত।
(খ) পৃথিবীর উপগ্রহটির নাম লেখো।
উত্তর – পৃথিবীর উপগ্রহটির নাম চন্দ্র বা চাঁদ।
২। সৌরজগতের গ্রহগুলোর নাম সূর্য থেকে একাদিক্রমে লিখো।
উত্তর – সূর্য থেকে দূরত্ব অনুসারে গ্রহগুলোর নাম ক্রমে- (১) বুধ, (২) শুক্র, (৩) পৃথিবী, (৪) মঙ্গল, (৫) বৃহস্পতি, (৬) শনি, (৭) ইউরেনাস ও (৮) নেপচুন।
৩। চন্দ্র সূর্যের তুলনায় অনেকগুণে ছোটো হলেও পৃথিবী থেকে কেন দুটোকেই সমান দেখায়?
উত্তর – চন্দ্র সূর্যের তুলনায় বহুগুণে ছোটো হলেও পৃথিবীর খুব নিকটে অবস্থিত বলে পৃথিবী থেকে চন্দ্র এবং সূর্যকে যেন প্রায় সমান দেখায়।
পৃষ্ঠা ১৬: অনুশীলনী – ২
১। নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো-
(ক) বৃহৎ পৃথিবীর ছোটো সদৃশ বস্তু বা মডেলটি কী?
উত্তর – বৃহৎ পৃথিবীর ছোটো সদৃশ বস্তু বা মডেলটি হল গোলক।
(খ) পৃথিবীর পরিধির মাপ কত?
উত্তর – পৃথিবীর পরিধি প্রায় ৪০,০০০ কি.মি.।
(গ) পৃথিবী কোন দিক থেকে কোন দিকে ঘোরে?
উত্তর – পৃথিবী নিজ মেরুদণ্ডের ওপর পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে অনবরত ঘুরছে।
(ঘ) পৃথিবীর মেরুদণ্ড কাকে বলে?
উত্তর – পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে পার হয়ে যাওয়া দুই মেরু সংযোগকারী কাল্পনিক রেখাটিকে পৃথিবীর মেরুদণ্ড (Axis) বলে।
২। পৃথিবীর দুটি মেরু এবং বিষুবরেখা দেখিয়ে একটি গোলকের ছবি আঁকো।
উত্তর – (এই প্রশ্নের জন্য একটি ছবি আঁকতে হবে যেখানে একটি গোলক, তার উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরু এবং মাঝ বরাবর বিষুবরেখা চিহ্নিত থাকবে, যেমনটি পাঠ্যপুস্তকের চিত্র ১.৭-এ দেখানো হয়েছে)

পৃষ্ঠা ১৭: অনুশীলনী – ৩
১। নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো-
(ক) অক্ষরেখা কাকে বলে?
উত্তর – বিষুব রেখার সমান্তরাল করে ক্রমে উত্তর ও দক্ষিণ দিকে কল্পনা করা বৃত্তাকার রেখাগুলোকে অক্ষরেখা (Parallels) বলে।
(খ) বিষুব রেখার কৌণিক পরিমাপ কত?
উত্তর – বিষুব রেখার মান বা কৌণিক পরিমাপ হল ০° অক্ষাংশ (0° Latitude)।
(গ) সুমেরু এবং কুমেরুর কৌণিক পরিমাপ কত?
উত্তর – পৃথিবীর উত্তর মেরুর (সুমেরু) কৌণিক পরিমাপ ৯০° উত্তর (90°N) এবং দক্ষিণ মেরুর (কুমেরু) কৌণিক পরিমাপ ৯০° দক্ষিণ (90°S)।
২। বিষুব রেখার বিষয়ে বর্ণনা করো।
উত্তর – বিষুব রেখা (Equator) হল পৃথিবীর ওপরদিকে দুই মেরু থেকে সমদূরত্বে পূর্ব-পশ্চিম দিকে কল্পনা করা একটি রেখা। এই রেখাটি পৃথিবীকে সমান দুভাগে ভাগ করেছে – উত্তর অংশকে উত্তর গোলার্ধ এবং দক্ষিণ অংশকে দক্ষিণ গোলার্ধ বলা হয়। এটি একটি কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখা যার মান ০° অক্ষাংশ। এটি সর্বাধিক লম্বা অক্ষরেখা। এর অন্য নাম নিরক্ষরেখা।
৩। একটি গোলকের চিত্র অঙ্কন করে প্রধান অক্ষরেখাগুলো নির্দেশ করো।
উত্তর – (এই প্রশ্নের জন্য একটি গোলকের ছবি আঁকতে হবে এবং তাতে নিম্নলিখিত প্রধান অক্ষরেখাগুলো চিহ্নিত করতে হবে: বিষুবরেখা (০°), কর্কট-ক্রান্তি (২৩°৩০′ উত্তর), মকর-ক্রান্তি (২৩°৩০′ দক্ষিণ), সুমেরু বৃত্ত (৬৬°৩০′ উত্তর), কুমেরু বৃত্ত (৬৬°৩০′ দক্ষিণ), উত্তর মেরু (৯০° উত্তর), এবং দক্ষিণ মেরু (৯০° দক্ষিণ)।)

পৃষ্ঠা ১৯: অনুশীলনী – ৪
১। নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো-
(ক) দ্রাঘিমারেখা বলতে কী বোঝ?
উত্তর – উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত অঙ্কন করা কাল্পনিক অর্ধবৃত্তাকার রেখাগুলোই হচ্ছে দ্রাঘিমা রেখা (Meridians)।
(খ) দ্রাঘিমাংশ কী?
উত্তর – দ্রাঘিমা রেখার কৌণিক মান বা পরিমাপকে দ্রাঘিমাংশ বলা হয়, যা ডিগ্রি (°) হিসেবে প্রকাশ করা হয়।
(গ) পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম এই দুই প্রান্তে মোট কতগুলো দ্রাঘিমারেখা কল্পনা করা হয়েছে?
উত্তর – পৃথিবীর পূর্ব দিকে ১৮০টি ও পশ্চিম দিকে ১৮০টি অর্থাৎ মোট ৩৬০টি দ্রাঘিমা রেখা কল্পনা করা হয়েছে।
(ঘ) মুখ্য দ্রাঘিমারেখা কী?
উত্তর – শূন্য (০°) দ্রাঘিমারেখা এবং এর বিপরীতে থাকা ১৮০° দ্রাঘিমারেখা মিলিত হয়ে যে পূর্ণ বৃত্তের সৃষ্টি করে, তাকেই মুখ্য দ্রাঘিমারেখা (Prime Meridian) বলা হয়। এটি লন্ডনের গ্রিনউইচ মানমন্দিরের ওপর দিয়ে গিয়েছে ধরা হয়।
২। দ্রাঘিমারেখার বিষয়ে বর্ণনা করো।
উত্তর – দ্রাঘিমারেখা হলো উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরু সংযোগকারী কাল্পনিক অর্ধবৃত্তাকার রেখা। এই রেখাগুলো অক্ষরেখাগুলোকে ৯০০ কোণে ছেদ করে। দ্রাঘিমারেখার কৌণিক মানকে দ্রাঘিমাংশ বলে। এগুলোর মাঝের দূরত্ব বিষুবরেখার কাছে সর্বাধিক এবং মেরুর দিকে ক্রমশ কমে গিয়ে মেরুবিন্দুতে মিলিত হয়। মোট ৩৬০টি দ্রাঘিমারেখা কল্পনা করা হয়েছে (০° থেকে ১৮০° পূর্ব এবং ০° থেকে ১৮০° পশ্চিম)। লন্ডনের গ্রিনউইচের ওপর দিয়ে যাওয়া ০° দ্রাঘিমারেখাটি গণনা শুরুর ভিত্তি হিসাবে ধরা হয়। মুখ্য দ্রাঘিমারেখা পৃথিবীকে পূর্ব গোলার্ধ ও পশ্চিম গোলার্ধে ভাগ করে। প্রতিটি দ্রাঘিমারেখা সমান দৈর্ঘ্যের।

৩। অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার পার্থক্য লেখো।
উত্তর –
* অক্ষরেখা – এগুলো পরস্পর সমান্তরাল ও পূর্ণবৃত্ত। এগুলোর পরিধি মেরুর দিকে ক্রমে কমে যায়, কিন্তু পরিমাপ (ডিগ্রি) বেড়ে যায়। সর্বাধিক লম্বা অক্ষরেখা হল বিষুবরেখা (০°)। উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরুতে এর পরিমাপ ৯০০।
* দ্রাঘিমারেখা – এগুলো পরস্পর সমান্তরাল নয়, এগুলো অর্ধবৃত্ত। দুইটি দ্রাঘিমারেখার মাঝের ব্যবধান বিষুব রেখার সামনে বেশি এবং মেরুর দিকে ক্রমশ কমতে থাকে ও মেরুতে মিলিত হয়। প্রতিটি দ্রাঘিমারেখা সমান দৈর্ঘ্যের।
পৃষ্ঠা ২১: অনুশীলনী – ৫
১। নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো-
(ক) ‘NASA’-র সম্পূর্ণ রূপটি লেখো।
উত্তর – ‘NASA’-র সম্পূর্ণ রূপটি হল National Aeronautics and Space Administration।
(খ) সূর্য কার চারদিকে পরিভ্রমণ করে?
উত্তর – সূর্য নিজ কক্ষপথে আকাশগঙ্গা (Milky Way Galaxy) তারকারাজ্যের কেন্দ্রের চারিদিকে পরিভ্রমণ করে।
(গ) পৃথিবীকে নিজের মেরুদণ্ডে একবার ঘুরতে কত সময় লাগে?
উত্তর – পৃথিবীকে নিজের মেরুদণ্ডে একবার ঘুরতে ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড সময় লাগে, যা প্রায় ২৪ ঘণ্টা।
(ঘ) অপসূর এবং অনুসূর কাকে বলে?
উত্তর – পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সময় ৪ জুলাই দিনটি সূর্য থেকে সর্বাধিক দূরত্বে (প্রায় ১৫২ নিযুত কি.মি.) অবস্থান করে; একে পৃথিবীর অপসূর অবস্থান বলে। অন্যদিকে, ৩ জানুয়ারির দিনটি পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে কাছে (প্রায় ১৪৭.৫ নিযুত কি.মি.) অবস্থান করে; পৃথিবীর এই অবস্থানকে অনুসূর বলে।
(ঙ) পৃথিবীকে সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরতে কত সময় লাগে?
উত্তর – পৃথিবীকে সূর্যের চারিদিকে একবার ঘুরতে ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ১৬ সেকেন্ড সময় লাগে, যা প্রায় এক বছর।
২। আহ্নিক গতি কাকে বলে? এর দুটি ফলাফল লেখো।
উত্তর – পৃথিবী নিজ কক্ষপথের সঙ্গে ৬৬.৩০° কোণ করে হেলানোভাবে নিজ মেরুদণ্ডকে কেন্দ্র করে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে অবিরত ঘুরে চলাকে আহ্নিক গতি বা আবর্তন গতি বলে।
ফলাফল:
* দিন ও রাত সংঘটিত হয়।
* সাগরে জোয়ার ও ভাঁটার সৃষ্টি হয় (চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণের সাথে মিলিত প্রভাব)।
* ভূ-পৃষ্ঠের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে শক্তিশালী বাতাসের সৃষ্টি হয় এবং বাতাসের দিকের পরিবর্তন ঘটে।

৩। বার্ষিক গতি কাকে বলে? এর দুটি ফলাফল লেখো।
উত্তর – পৃথিবী নিজে ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের চারিদিকে একটি নির্দিষ্ট উপবৃত্তাকার কক্ষপথে একবার ঘুরে আসাকে বার্ষিক গতি বা পরিভ্রমণ গতি বলে। এই গতি সম্পূর্ণ করতে প্রায় এক বছর সময় লাগে।
ফলাফল:
* ঋতু পরিবর্তন হয়।
* দিন এবং রাতের দৈর্ঘ্যের পরিবর্তন হয়।
* সাগরের তরঙ্গ, বাতাসের গতি, তাপ ও বায়ুর চাপের পরিবর্তন ঘটে।
* উদ্ভিদের বৃদ্ধি, পাতা ঝরা, ফল ধরা ইত্যাদি বছরের বিভিন্ন সময়ে ঘটে।

৪। একই সময়ে পৃথিবীর দুটি ভিন্ন অঞ্চলে কেন দিন রাত্রি হয় না?
উত্তর – পৃথিবী গোল এবং এটি পশ্চিম থেকে পূর্বে ক্রমাগত ঘুরছে (আহ্নিক গতি)। এই ঘূর্ণনের ফলে পৃথিবীর যে অংশ সূর্যের সামনে থাকে, সেখানে আলো পড়ে এবং দিন হয়। ঠিক সেই সময়ে, পৃথিবীর বিপরীত অংশটি সূর্যের আলো পায় না, তাই সেখানে রাত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ভারতে যখন দিন, তখন তার বিপরীত দিকে অবস্থিত আমেরিকায় রাত হয়।

(অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন, কিছু প্রশ্নের উত্তরের জন্য ছবি আঁকার প্রয়োজন যা এখানে টেক্সট ফরম্যাটে সম্ভব নয়। সেই ক্ষেত্রে, নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কী আঁকতে হবে।)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *