আমাদের খাদ্য, Chapter -7,  Class -3, SEBA, EVS New Book

আমাদের খাদ্য, Chapter -7,  Class -3, SEBA, EVS New Book

আমাদের খাদ্য, Chapter -7,  Class -3, SEBA, EVS New Book


পৃষ্ঠা ৪৫ (এসো লিখি)
* প্রশ্ন: খাদ্যমেলায় যে খাদ্যগুলি দেখেছো সেগুলোর নাম।
   * উত্তর: খাদ্যমেলায় বিরিয়ানী, দৈ, চিড়া, লাড্ডু, পিঠা, মোমো, চাওমিন ইত্যাদি খাদ্য দেখা যাচ্ছে।
* প্রশ্ন: উক্ত খাদ্যগুলোর কোনগুলো খাদ্য তোমার প্রিয়?
   * উত্তর: (এটি ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী লেখার জন্য।)
* প্রশ্ন: আমরা এই খাদ্যগুলো কোথা থেকে পাই?
   * উত্তর: আমরা সবাই খাদ্যের জন্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর উপর নির্ভরশীল।
পৃষ্ঠা ৪৬ (ক্রিয়াকলাপ ১ ও ২)
* প্রশ্ন: (ক্রিয়াকলাপ ১) প্রাণী ও উদ্ভিদ থেকে পাওয়া খাদ্যগুলোকে আলাদা করো।
   * উত্তর:
     * প্রাণী থেকে পাওয়া খাদ্য: ডিম, দুধ, মাংস।
     * উদ্ভিদ থেকে পাওয়া খাদ্য: ছোলা, ভাত, রুটি, চিড়া।
* প্রশ্ন: (ক্রিয়াকলাপ ২) খাদ্যগুলো উদ্ভিদের কোন অংশ তা লেখো।
   * উত্তর:
     * শিকড়: গাজর, মূলো।
     * কাণ্ড: আখ (বাঁশ)।
     * পাতা: ধনে পাতা, পালং শাক।
     * ফল: লেবু (বা কমলা), আম।
     * বীজ: ধান (বা চাল)।
পৃষ্ঠা ৪৭ (ক্রিয়াকলাপ ৩)
* প্রশ্ন: আমরা কেন খাদ্য রান্না করে খাই?
   * উত্তর: খাদ্য রান্না করলে কোমল ও সুস্বাদু হয় এবং সহজে হজম হয়। কয়েকটি জিনিস রান্না করে না খেলে হজম হয় না।
* প্রশ্ন: (ক্রিয়াকলাপ ৩) কোনগুলি রান্না করে আর কোনগুলি কাঁচা খাওয়া হয়?
   * উত্তর: (এটি ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য। পাঠের উদাহরণ অনুযায়ী:)
     * রান্না করে খাওয়া খাদ্য: ভাত, ডাল, ডিম, মাছের ঝোল, ফুলকপি ভাজা, আলু ভাজা।
     * কাঁচা খাদ্য: কলা, আম, পেয়ারা।
     * কাঁচা ও রান্না করে খাওয়া খাদ্য: গাজর, মূলো, পালংশাক।
পৃষ্ঠা ৪৮ (ক্রিয়াকলাপ ৪ ও ৫)
* প্রশ্ন: (ক্রিয়াকলাপ ৪) ছাত্র-ছাত্রীদের কথোপকথনে উল্লেখিত খাদ্যবস্তুগুলোর নামের তালিকা প্রস্তুত করো।
   * উত্তর: কথোপকথনে উল্লেখিত খাদ্যবস্তুগুলো হলো: ভাত, ডাল, ডিম, ফুলকপি ভাজা, পালংশাক, মাছের ঝোল, কলা, আম, রুটি, আলু ভাজা ও দুধ।
* প্রশ্ন: (ক্রিয়াকলাপ ৫) তোমরা বাড়িতে প্রায়ই কী কী খাদ্য খাও সেগুলো নিচের তালিকাতে লেখো।
   * উত্তর: (এটি ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য।)
* প্রশ্ন: আমরা কেন খাদ্য খাই?
   * উত্তর: আমরা খাদ্য খেলে কাজ করার শক্তি পাই। শারীরিক বৃদ্ধি ও অসুস্থতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যও খাদ্যের প্রয়োজন।
পৃষ্ঠা ৪৯
* প্রশ্ন: কোন খাদ্যগুলি আমাদের শরীরে শক্তি যোগায়?
   * উত্তর: ভাত, রুটি, চিড়া, পিঠা, চিনি, আলু ইত্যাদি খাদ্য আমাদের শরীরে শক্তি যোগায়।
* প্রশ্ন: কোন খাদ্যগুলি আমাদের শরীর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে?
   * উত্তর: ডিম, মটরশুঁটি, মাখন, সোয়াবিন, মাছ, মাংস, সীম, ডাল, বাদাম ইত্যাদি খাদ্য আমাদের শরীর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
* প্রশ্ন: কোন খাদ্যগুলি আমাদের অসুখ-বিসুখ থেকে রক্ষা করে?
   * উত্তর: কমলা, ঢেঁকিশাক, মোচা, আমলকি, পেয়ারা, পালং, জলপাই, হরিতকি ইত্যাদি খাদ্য আমাদের অসুখ-বিসুখ থেকে রক্ষা করে।
* প্রশ্ন: সুষম আহার কাকে বলে?
   * উত্তর: শরীরের জন্যে প্রয়োজনীয় খাদ্যে আবশ্যকীয় পরিমাণের শর্করা, চর্বি, প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ লবন এবং জল থাকলে, সেই খাদ্যকে সুষম আহার বলা হয়।
পৃষ্ঠা ৫১ (এসো বলি)
* প্রশ্ন: (পৃষ্ঠা ৫০ এর ছবি অনুযায়ী) কোন খাদ্য শরীরের অপকারী?
   * উত্তর: প্যাকেটের চিপস, শীতল পানীয় (কোকাকোলা), মশলাযুক্ত খাদ্য (সিঙারা), চাউমিন, আইসক্রীম ইত্যাদি সুস্বাদু খাদ্য আমাদের শরীরের জন্য অপকারী।
* প্রশ্ন: খাদ্য ও পানীয় জলকে সবসময় ঢেকে রাখতে হয় কেন?
   * উত্তর: কারণ খোলাভাবে রাখা খাদ্যে ধুলো-বালি, মাছি ইত্যাদি পড়ে, যা খেলে অসুখ হতে পারে।
* প্রশ্ন: খাদ্য অপচয় করা অনুচিত কেন?
   * উত্তর: কারণ আমাদের সমাজে অনেক মানুষ দুইবেলা পেটভরে খেতে পায় না এবং খাদ্য অপচয় হওয়ার ফলে আবর্জনার সৃষ্টি হয়ে পরিবেশ দূষিত হতে পারে।
পৃষ্ঠা ৫২ (অনুশীলনী)
১। উত্তর লেখো –
* (ক) প্রশ্ন: শরীরে শক্তি যোগান ধরা এমন দুটো খাদ্যের নাম।
   * উত্তর: শরীরে শক্তি যোগায় এমন দুটো খাদ্য হলো ভাত ও রুটি।
* (খ) প্রশ্ন: শরীর বৃদ্ধি হতে সাহায্য করে এমন দুটো খাদ্যের নাম।
   * উত্তর: শরীর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এমন দুটো খাদ্য হলো ডিম ও মাছ।
* (গ) প্রশ্ন: অসুখ-বিসুখ থেকে আমাদের রক্ষা করে এমন দুটো খাদ্যের নাম।
   * উত্তর: অসুখ-বিসুখ থেকে রক্ষা করে এমন দুটো খাদ্য হলো কমলা ও পালং শাক।
* (ঘ) প্রশ্ন: শরীরের জন্য অপকারী এমন দুটো খাদ্যের নাম।
   * উত্তর: শরীরের জন্য অপকারী এমন দুটো খাদ্য হলো প্যাকেটের চিপস ও শীতল পানীয়।
২। শুদ্ধ উক্তিতে ( ✓ ) চিহ্ন দাও-
* (ক) আহার আমাদের শরীরে শক্তি যোগায়। ( শুদ্ধ )
* (খ) সবসময় বিশুদ্ধ জল পান করা উচিত। ( শুদ্ধ )
* (গ) চিপ্স, শীতল পানীয়, আইসক্রীম ইত্যাদি শরীরের জন্য উপকারী। ( অশুদ্ধ )
* (ঘ) খোলা অবস্থায় রাখা খাদ্যবস্তু খাওয়া অনুচিত। ( শুদ্ধ )
৩। শূন্যস্থান পূর্ণ করো-
* (ক) আহার গ্রহণ করলে আমরা কাজ করার শক্তি পাই।
* (খ) শাক-সবজি ফল-মূল ইত্যাদি নিয়মিতভাবে খেলে আমাদের শরীর নিরোগী থাকে।
* (গ) প্রতিদিন সুষম আহার খেতে হয়। (বা পুষ্টিদায়ক)
* (ঘ) খাদ্য অপচয় করা অনুচিত।
* (ঙ) খাদ্য রান্না করলে কোমল ও স্বাদ (সুস্বাদু) হয়।
৪। উত্তর লেখো-
* (ক) প্রশ্ন: খোলাভাবে রাখা খাদ্য কেন খাওয়া অনুচিত?
   * উত্তর: কারণ খোলাভাবে রাখা খাদ্যে ধুলো-বালি, মাছি ইত্যাদি পড়ে, যা আমাদের অসুস্থ করতে পারে।
* (খ) প্রশ্ন: খাদ্য গ্রহণের সময় কী কী নিয়ম মানা উচিত?
   * উত্তর: খাদ্য গ্রহণের আগে শাক-সবজি, ফলমূল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হয়, খাদ্য ও পানীয় জল সবসময় ঢেকে রাখতে হয়, এবং পরিষ্কার পাত্রে আহার গ্রহণ করা উচিত।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *