আবহাওয়া , জলবায়ু , এবং জলবায়ুর সঙ্গে প্রাণীর আভিযোজন,Chapter-7, Class-7, Science, SEBA
আবহাওয়া , জলবায়ু , এবং জলবায়ুর সঙ্গে প্রাণীর আভিযোজন,Chapter-7, Class-7, Science, SEBA
অনুশীলনী (Excercises)
১। কোন স্থানের আবহাওয়া কী কী কারকের উপর নির্ভর করে?
উত্তর: কোন স্থানের আবহাওয়া সেই স্থানের প্রতিদিনের উষ্ণতা, আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এবং বায়ু প্রবাহ বা বাতাসের গতির মতো কারকগুলির উপর নির্ভর করে।
২। দিনের বেলা তাপমাত্রা কখন সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন হয়?
উত্তর: দিনের বেলা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সাধারণত বিকেলবেলা এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খুব সকালবেলা পাওয়া যায়।
৩। শূন্যস্থান পূর্ণ করো:
(a) দীর্ঘ সময়ের আবহাওয়ার গড়কে ______ বলে।
উত্তর: দীর্ঘ সময়ের আবহাওয়ার গড়কে জলবায়ু বলে।
(b) যেসব স্থানে সারা বছরে খুব কম পরিমানে বৃষ্টিপাত হয় এবং উষ্ণতা বেশি থাকে সেই স্থানের জলবায়ু ______ এবং ______।
উত্তর: যেসব স্থানে সারা বছরে খুব কম পরিমানে বৃষ্টিপাত হয় এবং উষ্ণতা বেশি থাকে সেই স্থানের জলবায়ু উষ্ণ এবং শুষ্ক।
(c) পৃথিবীর দুটো অঞ্চল যেখানে জলবায়ু চরমভাবাপন্ন হয় সেই অঞ্চল দুটোর নাম হল ______ এবং ______।
উত্তর: পৃথিবীর দুটো অঞ্চল যেখানে জলবায়ু চরমভাবাপন্ন হয় সেই অঞ্চল দুটোর নাম হল মেরু অঞ্চল এবং গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চল।
৪। নিম্নলিখিত স্থানের জলবায়ু কী রকম লিখো-
(a) জম্মু ও কাশ্মীর:
উত্তর: পাঠ্যবইয়ের তালিকা ৭.২ অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরের জলবায়ুতে তাপমাত্রার বেশ তারতম্য দেখা যায়। এখানে শীতকালে তাপমাত্রা খুব কম থাকে (যেমন, জানুয়ারীর গড় সর্বনিম্ন -2.3°C) এবং গ্রীষ্মকালে উষ্ণতা থাকে (যেমন, জুলাই মাসের গড় সর্বোচ্চ 30.0°C)। এটি কেরালার তুলনায় কম উষ্ণ ও আর্দ্র।
(b) কেরালা:
উত্তর: কেরালার জলবায়ু জম্মু ও কাশ্মীরের তুলনায় বেশি উষ্ণ ও আর্দ্র। এখানকার তাপমাত্রা সারা বছরই মোটামুটি বেশি থাকে এবং এখানে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়।
(c) রাজস্থান:
উত্তর: রাজস্থানের জলবায়ু উষ্ণ ও শুষ্ক। এখানে বছরের অধিকাংশ সময়ই তাপমাত্রা খুব বেশি থাকে এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুব কম হয়।
(d) উত্তর পূর্বাঞ্চল:
উত্তর: ভারতবর্ষের উত্তর পূর্বাঞ্চলে বছরের বেশিরভাগ সময়ই বৃষ্টিপাত হয়। সে কারণে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় জলবায়ুকে আর্দ্র জলবায়ু বলা হয়।
৫। ঘন ঘন কোনটি পরিবর্তিত হয়, আবহাওয়া না জলবায়ু?
উত্তর: আবহাওয়া ঘন ঘন পরিবর্তিত হয়। আবহাওয়া দিনের পর দিন এবং সপ্তাহের পর সপ্তাহ পরিবর্তিত হতে পারে, কিন্তু জলবায়ু হলো কোনো স্থানের বহু দিনের (প্রায় ২৫ বছর) গড় আবহাওয়া।
৬। নিম্নে প্রানীর কিছু বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলঃ
(ক) ফলহারী
(খ) সাদালোম
(গ) প্রব্রজনের প্রয়োজন
(ঘ) উচ্চ স্বর
(ঙ) কোমল গদিযুক্ত চটচটে পা
(চ) চামড়ার নীচে চর্বির স্তর
(ছ) বিস্তৃত ও বিশাল থাবা
(জ) উজ্জ্বল রং
(ঝ) শক্তিশালী লেজ
(ঞ) লম্বা ও চওড়াঠোঁট
এগুলোর মধ্যে কোনগুলো গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বর্ষারণ্যে বা মেরু অঞ্চলে অভিযোজিত প্রাণী? এগুলোর মধ্যে কোনগুলো উভয় অঞ্চলে বসবাস করে?
উত্তর:
* গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বর্ষারণ্যে অভিযোজিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য:
* (ক) ফলহারী (যেমন – মাকাউ বানর, টুকান পাখি)
* (ঘ) উচ্চ স্বর
* (ঙ) কোমল গদিযুক্ত চটচটে পা (যেমন – লাল চোখওয়ালা ব্যাঙ)
* (জ) উজ্জ্বল রং
* (ঝ) শক্তিশালী লেজ (যেমন – বানর)
* (ঞ) লম্বা ও চওড়াঠোঁট (যেমন – টুকান পাখি)
* মেরু অঞ্চলে অভিযোজিত প্রাণীর বৈশিষ্ট্য:
* (খ) সাদালোম (যেমন – মেরু ভালুক, পেঙ্গুইন)
* (গ) প্রব্রজনের প্রয়োজন (যেমন – পরিভ্রমী পাখি)
* (চ) চামড়ার নীচে চর্বির স্তর (যেমন – মেরু ভালুক, পেঙ্গুইন)
* (ছ) বিস্তৃত ও বিশাল থাবা (যেমন – মেরু ভালুক)
৭। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বর্ষারণ্যে প্রচুর সংখ্যক প্রাণী বসবাস করে কেন আলোচনা করো।
উত্তর: গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বর্ষারণ্যের জলবায়ু বিভিন্ন জাতির প্রাণীর বসবাসের পক্ষে অত্যন্ত অনুকূল। এখানকার অনবরত উষ্ণ আবহাওয়া এবং প্রচুর বৃষ্টিপাতের জন্য এই অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ জন্মায়, যা প্রাণীদের জন্য প্রচুর খাদ্যের জোগান দেয়। এই অনুকূল জলবায়ুর জন্যই গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বর্ষারণ্যে প্রচুর সংখ্যক প্রাণী বসবাস করে।
৮। বিশেষ বিশেষ ধরনের প্রাণী কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে বসবাস করে কেন ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: প্রতিটি জীবের উপর জলবায়ুর বিশেষ প্রভাব রয়েছে। প্রাণীরা বিবর্তনের মাধ্যমে সেই নির্দিষ্ট পরিবেশ বা জলবায়ুর সঙ্গেই খাপ খাইয়ে (অভিযোজন) নিতে শেখে যেখানে তারা বাস করে। উদাহরণস্বরূপ, যে সকল প্রাণী খুব ঠাণ্ডা জলবায়ুতে বাস করে, খুব ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাদের দেহের গঠন বিশেষ ধরনের হয় (যেমন – মেরু ভালুকের সাদা লোম বা চামড়ার নীচে চর্বির স্তর)। এই বিশেষ অভিযোজনগুলি তাদের অন্য কোনো পরিবেশে (যেমন – গরম জলবায়ুতে) বাঁচতে সাহায্য করে না। এই কারণেই বিশেষ বিশেষ ধরনের প্রাণী একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলেই বসবাস করে।
৯। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বর্ষারণ্য অঞ্চলে কি ভাবে হাতি অভিযোজন করে বাস করে আলোচনা করো।
উত্তর: গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বর্ষারণ্য অঞ্চলে হাতি বিভিন্ন আকর্ষণীয় উপায়ে অভিযোজন করে বাস করে:
১. শুঁড়: হাতি তার শুঁড়কে নাকের মতো ব্যবহার করে, কারণ এর ঘ্রাণশক্তি খুব প্রবল। এটি খাদ্য গ্রহণ করতেও ব্যবহৃত হয়।
২. হস্তিদন্ত: হাতির দাঁত (হস্তিদন্ত) রূপান্তরিত হয়ে গাছের ছাল ছিঁড়তে সাহায্য করে, যা হাতি খেতে ভালোবাসে।
৩. বড় কান: হাতির লম্বা ও বড় কান খুব মৃদু শব্দ শুনতেও সাহায্য করে এবং বর্ষারণ্যের উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুতে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
শুদ্ধ উত্তরটি বেছে বের করো:
১০। ডোরা কাটা মাংসাশী প্রাণী শিকার ধরার সময় যারা দ্রুত চলাফেরা করে সেই প্রাণীটি সম্ভবতঃ পাওয়া যায়-
(a) মেরু অঞ্চলে।
(b) মরুভূমিতে।
(c) মহাসাগরে।
(d) গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বর্ষারণ্যে।
উত্তর: (d) গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বর্ষারণ্যে। (উদাহরণস্বরূপ, বাঘ)
১১। কোন বৈশিষ্ট্যটি মেরু ভালুককে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা জলবায়ুতে বাস করতে সাহায্য করে?
(a) সাদা লোম তা চামড়ার নীচে চর্বি, তীক্ষ্ণ ঘ্রাণশক্তি।
(b) পুরু চামড়া, বড়চোখ, সাদা লোম।
(c) লম্বা লেজ, ধারালো নখ, সাদা বড় থাবা
(d) সাদা দেহ, সাঁতার কাটার জন্য থাবা, শ্বাসকার্যের জন্য ফুলকা।
উত্তর: (a) সাদা লোম তা চামড়ার নীচে চর্বি, তীক্ষ্ণ ঘ্রাণশক্তি।
১২। নীচের কোনটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চল বর্ণনা করো?
(a) উষ্ণ এবং আর্দ্র।
(b) আরাম দায়ক তাপমাত্রা এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত।
(c) ঠাণ্ডা এবং আর্দ্র।
(d) উষ্ণ এবং শুষ্ক।
উত্তর: (a) উষ্ণ এবং আর্দ্র।
