আজব কল, Chapter – 9, Class – 6, SEBA, New syllabus

আজব কল Chapter – 9

আজব কল থেকে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিচে দেওয়া হলো। পাঠ 9

পাঠভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর (পৃষ্ঠা ২-৩)

৫। নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর (MCQ)
১. কার খুড়ো আজব কল তৈরি করেছেন?

(ক) চণ্ডীদাসের


২. কলটির সাহায্যে পাঁচ ঘণ্টার রাস্তা কত ঘন্টায় পৌঁছে যাওয়া যায়?

(খ) দেড় ঘণ্টায়


২। শব্দার্থ মেলানো

কল = যন্ত্র

খাদ্য = খাবার

লোভ = কোনো কিছু পাওয়ার ইচ্ছা

যোজন = দূরত্ব বোঝাতে ব্যবহৃত একক

আজব = অদ্ভুত


৩। উত্তর দাও ও লেখো

(ক) কারা চণ্ডীদাসের খুড়োর আজব কলের কথা শুনে ‘শাবাশ’ বলেছে?

Ans.পাড়ার ছেলে-বুড়ো সবাই চণ্ডীদাসের খুড়োর আজব কলের কথা শুনে ‘শাবাশ’ বলেছে।


(খ) খুড়োর যখন বছর খানেক বয়স তখন কী বলে কেঁদে উঠেছিল?

Ans. খুড়োর যখন বছর খানেক বয়স তখন তিনি ভীষণ অট্টরবে ‘গুংগা’ বলে কেঁদে উঠেছিলেন।


(গ) “এই ছেলেটি বাঁচলে পরে তবে, বুদ্ধি জোরে এ সংসারে একটা কিছু হবে।” এখানে কারা একথাটি বলেছে, এবং কার উদ্দেশে?

Ans.এখানে লোকে বা পাড়ার লোকেরা যখন ছোট খুড়োকে ‘গুংগা’ বলে কাঁদতে শুনেছিল, তখন তারা খুড়োর উদ্দেশে বা এই ছেলেটির (চণ্ডীদাসের খুড়ো) উদ্দেশে একথাটি বলেছিল।


(ঘ) যন্ত্রটির সামনের দিকে কী ঝোলানো থাকে?

Ans. যন্ত্রটির সামনের দিকে যার যেরকম রুচি, সেই অনুযায়ী খাদ্য (মন্ডা, মিঠাই, চপ, কাটলেট, খাজা কিংবা লুচি) ঝোলানো থাকে।


(ঙ) যন্ত্রটি শরীরের কোন্ অংশে জুড়ে দেওয়া হয়?

Ans.যন্ত্রটি শরীরের ঘাড়ের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়।


(চ) ছড়াটিতে কী কী খাবারের কথা উল্লেখ রয়েছে?

Ans.ছড়াটিতে মন্ডা, মিঠাই, চপ, কাটলেট, খাজা এবং লুচি এই খাবারগুলোর কথা উল্লেখ রয়েছে।



৪। ছড়াটি পড়ো ও উত্তর দাও

(ক) খুড়ো যে যন্ত্রটি আবিষ্কার করেছেন সেটাকে ‘আজব রকম’ বলা হয়েছে কেন?

Ans.খুড়ো যে যন্ত্রটি আবিষ্কার করেছেন, সেটাকে ‘আজব রকম’ বলা হয়েছে কারণ এই কলটি মানুষের লোভকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত পথ অতিক্রম করার এক অভিনব ব্যবস্থা। এটি ঘাড়ের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় এবং সামনে খাবার ঝোলানো থাকে। খাবারের লোভে মানুষ সেদিকে ছুটতে থাকে আর এভাবে পাঁচ ঘণ্টার রাস্তা মাত্র দেড় ঘণ্টায় চলে যাওয়া যায়। যন্ত্রটির ফিকির বা কৌশলটি অদ্ভুত এবং অভিনব হওয়ায় এটিকে ‘আজব রকম’ বলা হয়েছে।


(খ) ‘উৎসাহেতে হুঁশ রবে না চলবে কেবল ধেয়ে’ – কেন উৎসাহে হুঁশ রবে না বলো?

Ans.যন্ত্রটির সামনে লোভনীয় খাদ্য ঝোলানো থাকে। মন সেই খাবার ‘খাব-খাব’ করে। খাবারটি খাওয়ার জন্য মুখ এগিয়ে গেলে, খাবারও পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যায়। খাবার পাওয়ার প্রবল লোভ ও উৎসাহের কারণে মানুষটি খাবার পানে চেয়ে কেবল চলতে থাকে। সে খাবার পাওয়ার উন্মত্ততায় এতই মত্ত থাকে যে তার পথ চলার কষ্ট বা ক্লান্তি সম্পর্কে কোনো হুঁশ বা জ্ঞান থাকে না।



৫। পদ্য থেকে গদ্যে রূপান্তর

(ক) বললে সবাই, ‘এই ছেলেটা বাঁচলে পরে তবে বুদ্ধি জোরে এ সংসারে একটা কিছু হবে।’

গদ্য রূপ: সবাই বলেছিল যে, যদি এই ছেলেটি বেঁচে থাকে, তবে সে তার বুদ্ধির জোরে ভবিষ্যতে পৃথিবীতে কোনো মহৎ কাজ করবে (বা কিছু একটা হবে)।


(খ) হেসে-খেলে দু-দশ যোজন চলবে বিনা ক্লেশে, খাবার গন্ধে পাগল হয়ে জিভের জলে ভেসে

গদ্য রূপ: খাবার গন্ধ পেয়ে পাগল হয়ে জিভের জলে ভেসে মানুষটি হেসে-খেলে কোনো কষ্ট ছাড়াই দু-দশ যোজন রাস্তা পার হয়ে যাবে।






ভাষা-অধ্যয়ন (পৃষ্ঠা ৪-৫)

৫৬। নঞর্থক বাক্য খুঁজে বের করা

‘খুড়োর কল’ ছড়াটিতে দুটো নঞর্থক বাক্য রয়েছে:
১. উৎসাহেতে হুঁশ রবে না চলবে কেবল যেয়ে।
২. বলব কী আর কলের ফিকির, বলতে না পাই ভাষা।


৫৭। ‘বোঝা’ শব্দের দুটো অর্থ ও বাক্য রচনা

বোঝা = ভারস্বরূপ বস্তু, গাঁট, বোঝাই (যা বহন করা হয়)

বাক্য: কুলিটি মাথায় একটি বোঝা নিয়ে চলেছে।


বোঝা = উপলব্ধি করা, জানা, বুঝতে পারা

বাক্য: অনেকক্ষণ ঘাঁটলে তবেই যন্ত্রটির কাজ বোঝা যাবে।



৫৮। বিপরীত শব্দ

অল্প = অনেক

দূর = কাছাকাছি

হালকা = ভারী

সহজ = কঠিন

সামনে = পেছনে

হাসা = কাঁদা





জ্ঞান সম্প্রসারণ (পৃষ্ঠা ৭)

২১৩। দৈনন্দিন জীবনে যন্ত্রের সাহায্য

দৈনন্দিন জীবনে যন্ত্র আমাদের নানাভাবে সাহায্য করে, যা জীবনকে সহজ ও দ্রুত করে তুলেছে।

যোগাযোগ: মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে দূর-দূরান্তে যোগাযোগ করা যায়।

তথ্য ও শিক্ষা: কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সাহায্যে প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করা যায় এবং অনলাইন শিক্ষা গ্রহণ করা যায়।

ঘর-গৃহস্থালি: ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, মিক্সার গ্রাইন্ডার ইত্যাদি যন্ত্র দৈনন্দিন গৃহস্থালির কাজ অনেক সহজ করে দিয়েছে।

পরিবহন: গাড়ি, ট্রেন, বিমান ইত্যাদি যান আমাদের দ্রুত ও সহজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দেয়।

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা: এক্স-রে, এমআরআই, এবং অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রগুলো জীবনদায়ী চিকিৎসায় সাহায্য করে।

সময় ব্যবস্থাপনা: স্মার্ট ঘড়ি বা অ্যালার্ম আমাদের সময়মতো কাজ শুরু করতে সাহায্য করে।

অর্থনৈতিক কাজ: এটিএম, ক্রেডিট কার্ড যন্ত্র, এবং কম্পিউটারাইজড বিলিং প্রক্রিয়া অর্থনৈতিক লেনদেন দ্রুত ও ত্রুটিমুক্ত করে।

বিনোদন: টেলিভিশন, মিউজিক প্লেয়ার, এবং গেমিং কন্সোলগুলো আমাদের অবসর সময়ে আনন্দ দেয়।

সুরক্ষা: সিসিটিভি ক্যামেরা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমাদের বাড়ি ও কর্মস্থলের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

কৃষি ও শিল্প: ট্রাক্টর ও আধুনিক যন্ত্রপাতি কৃষি উৎপাদন বাড়াতে এবং শিল্প কারখানাগুলোতে দ্রুত কাজ করতে সাহায্য করে।





প্রশ্নোত্তর (পৃষ্ঠা ৭)

২১২। ছবি দেখে যন্ত্র ও তার কাজ

রোবট: এটি মানুষের মতো কাজ করতে পারে, যেমন— বিপদজনক কাজ করা, ভারী জিনিস ওঠানো, অথবা শিল্প কারখানায় দ্রুত উৎপাদন করা।

কম্পিউটার: এটি তথ্য প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ, গেম খেলা, লেখালেখি, ছবি আঁকা এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানে সাহায্য করে।

ড্রোন: এটি রিমোটের সাহায্যে আকাশে উড়ে এবং ছবি তোলা, ভিডিও রেকর্ডিং করা, পর্যবেক্ষণ করা বা ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজে লাগে।

স্মার্ট ঘড়ি: এটি সময় দেখার পাশাপাশি স্বাস্থ্য নিরীক্ষণ (হৃদস্পন্দন, ঘুমের মান), মোবাইল নোটিফিকেশন দেখানো এবং ফিটনেস ট্র্যাকিং-এর কাজ করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *