পাঠ ১: সু-অভ্যাসের ফল
১। এসো, পড়ি এবং লিখি – (পাঠভিত্তিক)
ক) সুজয়ের বাবা চাকরিসূত্রে কোথায় থাকেন?
উত্তর: সুজয়ের বাবা চাকরিসূত্রে বমডিলাতে থাকেন।
খ) সুজয়দের মূল বাড়ি কোন জেলায়?
উত্তর: সুজয়দের মূল বাড়ি শ্রীভূমি জেলায়।
গ) কবিতা দাদুর সঙ্গে কোথায় গিয়েছিল?
উত্তর: কবিতা দাদুর সঙ্গে প্রাতভ্রমণে গিয়েছিল।
ঘ) তুলসীতলায় কে জল দিচ্ছিলেন?
উত্তর: কাকিমা হাত-পা ধুয়ে তুলসীতলায় জল দিচ্ছিলেন।
ঙ) সু-অভ্যাস গঠনের ফলে সুজয়দের কী পরিবর্তন হয়েছিল?
উত্তর: সু-অভ্যাস গঠনের ফলে তারা নিজেদের খুব সবল ও সতেজ অনুভব করতে লাগল এবং যে কোনো কাজই আনন্দের সঙ্গে মনোযোগ দিয়ে করতে পারল।
চ) “ও তার দাদুর সঙ্গে বেরিয়ে গেছে” – এখানে ‘ও’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? কথাটি কে, কাকে বলেছেন?
উত্তর: এখানে ‘ও’ বলতে কবিতার কথা বলা হয়েছে। কথাটি কাকিমা সুজয়কে বলেছেন।
ছ) “এমন সময় কাকিমা দুজনের জন্যই কিছু খাবার এনে রেখে গেলেন।”- এখানে ‘দুজন’ বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: এখানে ‘দুজন’ বলতে সুজয় ও কবিতার কথা বলা হয়েছে।
২। এসো, নীচের বিকল্প উত্তরগুলো থেকে শুদ্ধ উত্তরটি বেছে তার পাশের চিহ্নটি পূর্ণ করি-
* কবিতার সু-অভ্যাসগুলো হলো-
(ক) ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠা
* নীচে কোনটি সু-অভ্যাস নয়-
(খ) ঘুম থেকে দেরি করে ওঠা
* “পরদিন কাকভোরে পাখির ডাক শুনে সুজয়ের ঘুম ভেঙে যায়”- এখানে ‘কাকভোরে’ শব্দের অর্থ কী?
(গ) ভোরবেলা
* প্রাতভ্রমণ বলতে বোঝায়-
(গ) হাঁটা
৩। ভাষা অধ্যয়ন
ক) …এধরনের যুক্তাক্ষর থাকা আরও শব্দ পড়ি-
* রাস্তা – বস্তা – বাস্তব – সন্তা
* বন্ধ – গন্ধ – অন্ধ – সিন্ধু
খ) …নতুন শব্দ লিখি-
* চন্দ্র – চন্দ্রবিন্দু, চন্দ্রগ্রহণ
* ইন্দ্র – ইন্দ্রজাল, ইন্দ্রাণী
৪। …শব্দগুলি সঠিক ভাবে সাজিয়ে বাক্যটি সম্পূর্ণ করো-
* ভালো পক্ষে প্রাতভ্রমণ স্বাস্থ্যের। => প্রাতভ্রমণ স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো।
* করা নিয়মিত যোগচর্চা উচিত। => নিয়মিত যোগচর্চা করা উচিত।
* রাখে উৎফুল্ল খেলাধুলা মনকে। => খেলাধুলা মনকে উৎফুল্ল রাখে।
* থাকেন বাবা সুজয়ের বমডিলায়। => সুজয়ের বাবা বমডিলায় থাকেন।
৫। এসো, এবার নীচের শব্দগুলো ভেঙে লিখি-
* যোগাসন – যোগ + আসন
* পদ্মাসন – পদ্ম + আসন
* শবাসন – শব + আসন
* বিদ্যালয় – বিদ্যা + আলয়
* হিমালয় – হিম + আলয়
* বজ্রাসন – বজ্র + আসন
৬। এসো, নীচের বাক্যগুলো এভাবে লিখি – (উদ্দেশ্য ও বিধেয়)
১। রহিম – তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
২। সে – বই পড়ছে।
৩। রূপা – একটি ভালো মেয়ে।
৪। শিল্পী – গান গায়।
৫। আপনি – কোথায় থাকেন?
৮। জ্ঞান-সম্প্রসারণ
* সুজয়ের অভ্যাসগুলো দেখে তোমার অভ্যাসগুলো লেখো-
* সুজয়ের অভ্যাস – ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠে। – তোমার অভ্যাস – (ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের অভ্যাস লিখবে, যেমন: আমিও ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠি।)
* সুজয়ের অভ্যাস – মন দিয়ে পড়াশোনা করে। – তোমার অভ্যাস – (ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের অভ্যাস লিখবে, যেমন: আমিও মন দিয়ে পড়াশোনা করি।)
* সুজয়ের অভ্যাস – রাস্তার বাঁদিক দিয়ে হাঁটে। – তোমার অভ্যাস – (ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের অভ্যাস লিখবে।)
* সুজয়ের অভ্যাস – গুরুজনদের শ্রদ্ধা করে। – তোমার অভ্যাস – (ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের অভ্যাস লিখবে।)
* সুজয়ের অভ্যাস – যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলে না। – তোমার অভ্যাস – (ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের অভ্যাস লিখবে।)
৯। …কার্ডগুলোতে কী লেখা আছে পড়ি-
* সময় নদীর স্রোতের মতো বয়ে যায়।
* খাওয়ার সময় কথা বলা উচিত নয়।
* গাছ থাকলে তবেই মানুষ থাকবে।
* প্রাণ মানুষের অমূল্য সম্পদ।
* প্রকৃতিই প্রকৃত বন্ধু।
* স্বাস্থ্যই পরম ধন।
* হাসিই হলো সুস্থতার প্রতীক।
১০। সুজয়ের মতো তুমি তোমার পড়ার ঘরের দেয়ালে কী কী লিখে টাঙাবে তা বড়ো অক্ষরে লেখো-
(এটি ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের লেখার জন্য। উদাহরণ:)
* সদা সত্য কথা বলিব।
* নিয়মিত পড়াশোনা করব।
* বড়দের সম্মান করব।
১১। ছবিগুলোর কাজ তোমার ভালো লেগেছে কি? কারণ উল্লেখ করো-
(এটি ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের লেখার জন্য। ছবির উপর ভিত্তি করে উদাহরণ:)
* প্রথম ছবিটি (নখ কামড়ানো): আমার ভালো লাগেনি। এটি একটি বদ অভ্যাস।
* দ্বিতীয় ছবিটি (জুতো পরা): এটি ভালো অভ্যাস।
* তৃতীয় ছবিটি (পা ধোয়া): এটি আমার খুব ভালো লেগেছে। বাইরে থেকে এসে পা ধোয়া একটি খুব ভালো অভ্যাস, এতে শরীর পরিষ্কার থাকে।
১২। এসো, নীচের কথোপকথনটির শূন্যস্থান নিজের মতো করে পূর্ণ করি-
(এটি ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের মতো পূরণ করার জন্য। উদাহরণ:)
* প্রথমত, সে প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে ওঠে।
* দ্বিতীয়ত, সে গুরুজনদের শ্রদ্ধা করে।
১৪। পড়ো এবং লেখো- (ছুটির আবেদনপত্র)
(এটি পড়ার জন্য একটি উদাহরণ। এখানে মাননীয় প্রধান শিক্ষকের কাছে অসুস্থতার কারণে তিন দিনের ছুটি মঞ্জুরের জন্য একটি আবেদনপত্র লেখা হয়েছে।)
১৫। প্রকল্প (নীচে উল্লিখিত সময়ে তুমি কী কী করো…)
(এটি ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের লেখার জন্য। উদাহরণ:)
* সকালবেলা: আমি ঘুম থেকে উঠে দাঁত মাজি ও হাত-মুখ ধুই। তারপর পড়াশোনা করি।
* বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পর: আমি পোশাক বদলে হাত-মুখ ধুই। তারপর দুপুরের খাবার খাই।
* বিকেলবেলা: আমি বন্ধুদের সাথে মাঠে খেলতে যাই। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে পড়তে বসি।
* রাত্রিবেলা: আমি পরিবারের সবার সাথে রাতের খাবার খাই। তারপর কিছুক্ষণ গল্প করে ঘুমোতে যাই।
পাঠ ২: আমার পণ (মদনমোহন তর্কালঙ্কার)
১। এসো, আলোচনা করি এবং লিখি- (পাঠভিত্তিক)
ক) গুরুজনের আদেশ কেন পালন করা উচিত?
উত্তর: ভালো হয়ে চলার জন্য এবং ভালো মনে কাজ করার জন্য গুরুজনের আদেশ পালন করা উচিত।
খ) ঝগড়া-বিবাদ কেন করতে নেই?
উত্তর: ভালো হয়ে চলার জন্য কারো সাথে ঝগড়া-বিবাদ করতে নেই।
গ) সবার সাথে মিলেমিশে থাকা কেন প্রয়োজন?
উত্তর: ভাইবোন ও সকলের সাথে মিলেমিশে থাকা একটি ভালো গুণ এবং ভালো হয়ে চলার একটি অংশ।
ঘ) মিথ্যে কথা ত্যাগ কেন করা দরকার?
উত্তর: ভালো হয়ে চলার জন্য মিথ্যে কথা (মিছে কথা) ত্যাগ করা দরকার।
২। দেখো, বলো ও কাছের ঘরটিতে সংখ্যা ও অক্ষর দিয়ে লেখো-
ক) পদ্যটিতে কয়টি পঙ্ক্তি রয়েছে?
উত্তর: ১৪ (চোদ্দ) টি। [cite: 244-250]
খ) প্রত্যেকটি পঙ্ক্তিতে কয়টি করে অক্ষর রয়েছে?
উত্তর: ১৪ (চোদ্দ) টি। (উদাহরণ: সকালে-উঠিয়া-আমি-মনে-মনে-বলি = ১৪)
গ) কবিতাটিতে কয়টি অন্ত্যমিল রয়েছে?
উত্তর: ৭ (সাত) টি। (বলি-চলি, গুরুজনে-মনে, ভালোবাসি-মিলেমিশি, খেলা-হেলা, দুখে-মুখে, থাকি-ফাঁকি, সনে-মনে)
৩। শুদ্ধ উত্তরটির কাছের চিহ্নটি রং দিয়ে পূর্ণ করো-
* ছেলেটি কী করে?
(ঘ) ছেলেটি গুরুজনের আদেশ পালন করে।
* ছেলেটি কী করে না?
(ক) ঝগড়া করে না।
৪। নীচের শব্দগুলোর অর্থ, পাশের শব্দাবলি থেকে বের করে লেখো-
* সকাল – প্রভাত
* গুরুজন – পিতামাতা প্রমুখ শ্রদ্ধাভাজন
* হেলা – অবজ্ঞা
* সুখী – আনন্দিত
* কভু – কখনও
৫। ভাষা-অধ্যয়ন
ক) …বিপরীত অর্থ ‘মন্দ’। কবিতাটি অবলম্বনে কয়েকটি বিপরীত শব্দ বেছে নাও-
* ভালো – মন্দ
* খ) নীচের শব্দগুলির বিপরীত শব্দ পদ্যটি থেকে খুঁজে বের করে লেখো-
* বিকেল – সকাল
* হিংসা – (ভালোবাসি)
* মেয়ে – (ছেলেদের)
* অসময় – (সময়)
* অসুখী – সুখী
৬। নীচের শব্দগুলির সাহায্যে বাক্য গঠন করো-
* সকাল: আমি রোজ সকালে উঠে পড়তে বসি।
* গুরুজন: আমাদের গুরুজনদের আদেশ মেনে চলা উচিত।
* আদেশ: আমি গুরুজনের আদেশ ভালো মনে পালন করি।
* খেলা: আমি ভালো ছেলেদের সাথে মিশে খেলা করি।
* সুখী: অন্যের দুঃখে কখনো সুখী হতে নেই।
৭। …বিশেষণ… দোষ-বাচক শব্দ… বিশেষণগুলো…
* দোষ-বাচক শব্দ: মিছে (কথা), লোভ (এছাড়াও: ফাঁকি, ঝগড়া)।
* বিশেষণগুলো: ভালো (হয়ে চলি), ভালো (মনে), ভালো (ছেলেদের), মিছে (কথা)।
১০। পদ্যটিতে চিরসত্য কিছু গুণ এবং দোষের উল্লেখ আছে। সেইগুলো খুঁজে বের করে লেখো।
* গুণ: ভালো হয়ে চলা, গুরুজনের আদেশ পালন করা, ভাইবোনদের ভালোবাসা, মিলেমিশে থাকা, পাঠে হেলা না করা, অন্যের দুঃখে দুঃখী হওয়া, সত্য কথা বলা, লোভ সামলানো, ফাঁকি না দেওয়া, ঝগড়া না করা।
* দোষ: পাঠে হেলা করা, অন্যের দুঃখে সুখী হওয়া, মিছে কথা বলা, লোভ করা, ফাঁকি দেওয়া, ঝগড়া করা।
১১। পদ্যটির কোন্ অংশটি পড়ে তোমার বেশি ভালো লেগেছে লেখো এবং কেন ভালো লেগেছে বলো-
(এটি ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের লেখার জন্য। উদাহরণ:)
* অংশ: “সুখী যেন নাহি হই আর কারও দুখে, / মিছে কথা কভু যেন নাহি আনি মুখে।”
* কারণ: এই অংশটি আমার ভালো লেগেছে কারণ অন্যের কষ্টে আনন্দ পাওয়া খুব খারাপ কাজ এবং মিথ্যে কথা বলাও খুব খারাপ। আমি এই দুটি কাজ কখনো করতে চাই না।
১২। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো।
ক) ভালো ছেলে বা মেয়ের কী কী গুণ থাকা দরকার লেখো।
উত্তর: ভালো ছেলে বা মেয়ের গুণগুলি হলো- সকালে ওঠা, গুরুজনের আদেশ পালন করা, ভাইবোনদের ভালোবাসা ও মিলেমিশে থাকা, পাঠে অবহেলা না করা, অন্যের দুঃখে দুঃখী হওয়া, মিছে কথা না বলা, লোভ না করা এবং ঝগড়া না করা।
খ) সেই গুণগুলো তোমার নিজের মধ্যে আছে কি না মিলিয়ে দেখে লেখো।
(এটি ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের লেখার জন্য।)
গ) যদি কোনো গুণ তোমার মধ্যে নেই, তবে কীভাবে তুমি সেই গুণ আহরণ করবে বলো।
(এটি ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের লেখার জন্য।)
